ওলকচু বারি ওলকচু-২


  • জাত এর নামঃ

    বারি ওলকচু-২

  • আঞ্চলিক নামঃ

    -

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ২১০-২৭০ দিন দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ৩৫-৪০ টন কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। বৈশিষ্ট্য: পত্রকগুলি হালকাভাবে বিন্যস্ত, একটা থেকে আরেকটা পৃথক থাকে। ভূয়াকাণ্ডে সাদা ছোপ ছোপ দাগগুলো ছোট আকারের এবং অধিক সংখ্যক কাঁটা কাঁটা গঠন থাকে বিধায় ভূয়াকাণ্ডটি বেশ খসখসে হয়। প্রধান গুড়িকন্দ মাঝারী আকারের হয়, প্রতিটি গুঁড়িকন্দ হতে গড়ে ৮-৯ টি করমেল উৎপন্ন করে। গুঁড়িকন্দের উপরের অংশ পার্পল রঙের, এর মাংশল অংশ হলুদ বর্ণের । একক গুঁড়িকন্দের ওজন ১-৩ কেজি।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । চাষ পদ্ধতি : জমি নির্বাচন ও তৈরি: সু-নিষ্কাশিত এঁটেল দো-আঁশ, বেলে দো - আঁশ মাটি উপযোগী। অতিরিক্ত এঁটেল ও বেলে মাটিতে চাষ না করাই ভাল। মাটির ‘জো’ থাকা অবস্থায় মাটির প্রকারভেদে ৩-৪ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিয়ে ভাল করে মই দিয়ে মাটি চেপে দিতে হবে।
    2. ২ । বীজ তৈরি : সাধারণত বিভিন্ন আকারের মুখী এক/দুই বছর আবাদ করার পর যে গুঁড়িকন্দ তৈরি হয় তাই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ছোট আকারের গুঁড়ি কন্দগুলিকে এক বছর রোপণ করে বীজ তৈরি করতে হয়।
    3. ৩ । বীজ বপনের সময় : মধ্য -মাঘ থেকে মধ্য-ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি) মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। প্রয়োজনে মধ্য-চৈত্র থেকে মধ্য-বৈশাখ (এপ্রিল) মাসেও লাগানো যায় তবে এরপরে রোপণ করলে ফলন কমে যায়।
    4. ৪ । বীজ বপণের দূরত্ব : অন্যান্য ফসলের মত ওলকচুর জন্য কোন একক দূরত্ব নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বীজের আকারের অসমতার জন্য বিভিন্ন আকারের বীজ বিভিন্ন দূরত্বে বপণ করতে হবে। স্বাভাবিক ও বাণিজ্যিক উৎপদনের জন্য বীজের আকার ও বীজ বপনের দূরত্ব কিছুটা ভিন্ন স্বাভাবিক ও বাণিজ্যিক উৎপদনের ক্ষেত্রে বীজের আকার যথাক্রমে ৫০-৪০০ গ্রাম ও ৪০০-১০০০ গ্রাম এবং বপনের দূরত্ব ৬০ সে.মি × ৫০ সে.মি ও ৭৫ সে.মি × ৬০ সে.মি।
    5. ৫ । বীজ বপনের পদ্ধতি : মুখী ও ছোট গুঁড়ি বপনের জন্য আলুর মত নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। লাঙ্গল দিয়ে লাইন তৈরি করে নির্দিষ্ট দূরত্বে বীজ বসিয়ে মাটি তুলে দিতে হবে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য নিদিষ্ট দূরত্বে গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্তের আকার বীজের ব্যাসের চেয়ে একটু বড় হবে। গভীরতা হবে ব্যাসের তিন গুণ। তবে কন্দের ভিন্নতার উপর গত্রের আকার আকৃতি ভিন্ন হয়।
    6. ৬ । সার প্রয়োগ : গোবর বা আবর্জনা পচা সার - ২০ টন ইউরিয়া - ৩২৫ কেজি টিএসপি - ২১০ কেজি এমপি - ১৭৫ কেজি সম্পূর্ণ গোবর এবং ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সারের অর্ধেক জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক বীজ বপনের গর্তে বা লাইনে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সমান বা ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের ৮০-৮৫ দিন পর ভালভাবে আগাছা পরিষ্কার করে প্রথমবার এবং ১১০-১১৫ দিন পর দ্বিতীয়বার প্রয়োগ করতে হবে।