১। এ জাতের সব অঙ্গই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। তবে কাণ্ড (রাইজোম) হলো এ জাতের প্রধান ভক্ষনযোগ্য অংশ।
২। কাণ্ড দৈর্ঘ্যে প্রায় ১ মিটার লম্বা হয় ।
৩। কাণ্ড গোলাকার, মোটা ও হালকা সবুজ বর্নের হয় এবং গলাচুলকানীমু্ক্ত অর্থাৎ এ কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট এর পরিমাণ কম থাকায় গলা চুলকায় না ।
৪। সিদ্ধ করলে সমান ভাবে সিদ্ধ হয়।
৫। হেক্টরপ্রতি ফলন ২৫-৩০ টন কাণ্ড এবং প্রায় ১০- ১২ টন লতি উৎপন্ন হয়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-নভেম্বর) ও নাবী ফসলের জন্য মধ্য-ফাল্গুন থেকে মধ্য-বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য অগ্রহায়ন - পৌষ মাস (ডিসেম্বর-থেকে মধ্য- জানুয়ারী) চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: লাগানোর ২ মাস পর থেকে ৭ মাস পর্যন্ত লতি হয়ে থাকে।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা
: এলাকাভেদে প্রয়োজন হয় প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর বা কম্পোস্ট, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট, বরিক এসিড এবং অর্ধেক এমওপি সার জমি তৈরীর সময় শেষ চাষের আগে প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপনের ১.৫-২ মাস সময়ে অর্ধেক এমওপি এবং ইউরিয়ার এক ষষ্টাংশ ছিটিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়ার বাকী পাঁচ ভাগ সার সমান কিস্তিতে ১৫ দিন পর পর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।